গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু ও আঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন একটি সবজি, এটি পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ একটি সবজি, এই সবজি মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী, এই সবজিতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা মানব শরীরের অনেক উপকারে এসে থাকে।এটি মানুষের চোখ ত্বক চুল ও শরীরের নানা অঙ্গের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি। গাজর কে ইংরেজিতে ক্যারট বলা হয়।
গাজর-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
এরমধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরকে ভালো রাখতে এবং আপনাকে সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে গাজর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অন্যতম একটি সবজি, গাজরে অনেক পুষ্টিকর গুণাবলী সমৃদ্ধ রয়েছে, গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি এসিড ফলে পটাশিয়াম আয়রন প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি আপনার দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করবে লিভারের জন্য উপকারী একটি সবজি,আ্যন্টি এজিংয়ের জন্য কাজের একটি উপকারী সবজি। সচরাচর সুন্দর ত্বকের জন্য অনেকে গাজর খেয়ে থাকে, আবার অ্যান্টিসেপটিক হিসাবেও কাজ করে থাকে। হৃদরোগের জন্য গাজরের উপকারিতা অপরিসীম।
 পেজ সূচিপত্র :

গাজরের উপকারিতা 
 মানব স্বাস্থ্যের জন্য গাজরের উপকারিতা মানব জীবনে অপরিসীম,এটিতে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি এসিড পলিট পটাশিয়াম আইরন ফাইবার যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে, গাজরের রয়েছে ভিটামিন সি সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে নিয়মিত গাজর খেলে আপনার শরীরের জীবাণু বের করে কে প্রতিরক্ষামূলক ঢাল তৈরি করতে পারে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যা আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতে এবং যাবতীয় ত্বকের রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করবে। আপনার শরীর এবং ত্বককে সুন্দর রাখতে নিয়মিত গাজরের রস পান করুন। এটি নিয়মিত পান করার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীর ও ত্বককে আরো সুন্দর করতে পারেন।
 ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
আমরা সাধারনত যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি এর মধ্যে ক্যান্সারের ঢুকে অনেকটাই থেকে যায় আর ক্যান্সার হল একটি মারাত্মক মরণব্যাধি রোগ, আর এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় হল আমাদের অনেক পুষ্টিকর খাবারের অভ্যাস করা আর এই পুষ্টিকর খাবারের গুলোর মধ্যেই একটি হলো গাজর। তাই প্রতিদিন গাজর খেলে এই মরণব্যাধি রোগ ক্যান্সার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে তাই প্রতিদিন গাজর খাওয়া উচিত। 
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
অনেকেই হজমজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন আর এই সমস্যা থেকে পরীক্ষা নিতে পারে গাজর, অনেকের হজমের সমস্যা হয় এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কষ্টকাঠিন্য রোগ আর এই রোগ হলে শরীরের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় তাই নিয়মিত গাজর খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ সহজেই দূর হয়। 
এটি ডায়রিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে
গাজর খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে এটি একটি অন্যতম যে ডায়রিয়া প্রতিরোধে গাজরের ভূমিকা অপরিসীম। গাজর খুব সহজে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেছে পারে, ডায়রিয়া রোগী শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বের হয় গাজর এই পানির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে, আর যেহেতু ডায়রিয়া হলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়েন এই দুর্বলতা দূর করতে পারে গাজর।
গাজর দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
গাজর খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে গাজর। গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা লিভার এ গিয়ে ভিটামিন এতে পরিণত হয় এবং চোখের রেটিনায় গিয়ে দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে গাজর বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে, গাজর খাওয়ার মধ্যে দিয়ে একজন ব্যক্তি তার লিভারকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে এবং তার দৃষ্টিশক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
গাজর-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
গাজর পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ একটি সবজি 
গাজরের রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা শরীর কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, এর মধ্যে যে উপাদান গুলো রয়েছে তা হলো ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন কে ফলেট পটাশিয়াম আইরন এবং বিটা ক্যারোটিন এছাড়াও গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
 গাজর কতটুকু খাওয়া যাবে
শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই গাজর খেতে পারে তবে পরিমাণ হতে হবে নিয়ন্ত্রিত, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন 70 থেকে 100 গ্রাম পর্যন্ত যাদের খেতে পারেন। ছোট শিশুদের জন্য এক বা দুই টুকরায় যথেষ্ট অতিরিক্ত খাওয়া ফলে উপকারের চাইতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই ছোট শিশুদের অতিরিক্ত না খাওয়ানাই ভালো। 
গাজর খাওয়ার পদ্ধতি
 আপনি যদি গাজরের পরিপূর্ণ উপকারিতা পেতে চান তাহলে গাজর সিদ্ধ অথবা কাঁচা খাওয়ায় আপনার জন্য উপকার হবে কারণ এটি রান্না করে খেলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই চেষ্টা করুন গাজর প্রতিদিন 70 থেকে 100 গ্রাম কাঁচা অথবা সিদ্ধ করে খাওয়ার। তাহলে আপনি শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
গাজর খাওয়ার অপকারিতা
 অতিরিক্ত গাজর খাওয়া কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কারণ এটি রক্তে প্রোটিন ও ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যার ফলে কিডনি রোগীরা আরো ক্ষতির মধ্যে পড়ে যেতে পারেন তাই তাদের উচিত হবে গাজর কে এড়িয়ে চলা। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে তাদের জন্য এটি এড়িয়ে চলাই ভালো হবে কারণ গাজর মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তাই ডাইবেটিস রোগীদের জন্য পরিমাণ বেশি হলে এটি ক্ষতিকর হতে পারে। এবং অনেক মায়েরা অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে তাদের বুকের দুধের স্বাদ বদলে যায় যা নবজাতক শিশুর পেট ব্যথার কারণ হতে পারে তাই তাদের উচিত গাজর এড়িয়ে চলা অতিরিক্ত গাজর না খাওয়াই তাদের জন্য ভালো। 
 লেখক এর মন্তব্য
গাজরএকটি শীতকালীন সহজলভ্য একটি সবজি বাংলাদেশে এবং এর উপকার বলে আমরা শেষ করতে পারবো না আর এটি উপকারী বলে সব ধরনের মানুষই এটি খেয়ে থাকে তবে গাজরে যতটা উপকার রয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ক্ষতির কারণও হতে পারে তাই পরিমাণ মতো গাজর খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে এবং অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো তাদের যাদের কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url