পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

 

পুঁইশাকের উপকারিতা বলতে বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ, আমাদের এই দেশের জনপ্রিয় অনেক সুস্বাদু পুষ্টিকর স্বাস্থ্যসম্মত অনেক সবজি দেখা যায়, এগুলোর মধ্যে পুঁইশাক হচ্ছে অন্যতম। সাধারণত বাজারে এটির সারা বছরই দেখা মিলে।

পুঁইশাকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

পুইশাক এমন একটি সবজি যা খুবই সুস্বাদু, স্বাস্থ্যসম্মত এবং সহজলভ্য, এটিকে সচরাচর বাঙালিদের দেখা যায় বিভিন্নভাবে রান্না করে বা ভাজি করে খেতে। এটিকে অনেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ যেমন ইলিশ, চিংড়ি কই এরকম বিভিন্ন মাছের সাথে রান্না করে খেয়ে থাকে। পুঁইশাক একটি উপকারী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি, এতে অনেক ভিটামিন ও রয়েছে যেমন ভিটামিন বি ভিটামিন সি ভিটামিন এ পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন আছে । এটি এমন একটি সবজি যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। সবজি হিসেবে পুঁইশাকে ভূমিকা মানব জীবনে অপরিসীম। 

আরো পড়ুন: উইন্ডোজ ১০ মোবাইল হটস্পট কি বারবার বন্ধ হচ্ছে

পেজ সূচিপত্র 


পুঁইশাক পুষ্টিগুনে ভরপুর

পুইশাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে যেমন পুঁইশাকে রয়েছে আঁশ যাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আবার পুঁইশাকে এমনও ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের রোগ জীবাণু দূর করে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । এবং এটির কারণে যাদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা আছে বা যাদের চুলের সমস্যা তাদের জন্য পুঁইশাক অতি একটি পুষ্টিকর এবং উপকারী সবজি ।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী 

পুঁইশাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি। এতে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যার নাম লিপোইক অ্যাসিড। দেখা যায় যে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় আর ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে ,এর দ্বারা এটাই বোঝা যায় যে ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি আর অটোনমিক  নিউরোপ্যাথি কমায়। তাই বলা যায় যে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী।

পুঁইশাকের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা


ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে 

পুঁইশাক কিন্তু ক্যান্সার দূর করতে বেশ রকম। কারণ আরো সবুজ সবজির মধ্যে পুঁইশাকেও রয়েছে ক্লোরোফিল। ক্লোরোফিল কিন্তু কার্সিনোজেনিক প্রভাব আটকাতে খুব ভালো কাজে দেয়। আমরা জানি যে তার চেয়ে নজেনিকের প্রভাবে ক্যান্সার হয়। আর এই পারছেন নজেনিক প্রভাব হয় খুব বেশি মাত্রায় কিছু গ্রিল করলে। আমরা সবাই জানি যে ফাইবার পাকস্থলী আর কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই অনেক ভাবেই বলা যায় যে এটি ক্যান্সার দূর করতে বেশ সক্ষম। 

ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে 

পুঁই শাকে আছে পটাশিয়াম। বলা চলে পুঁইশাক কিন্তু পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস। আমরা জানি পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসার এর জন্য অনেক কার্যকরী এটি ব্লাড প্রেসার কম করাইতে সাহায্য করে। আর আমরা জানি যে পটাশিয়াম শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। তাই পুঁইশাক না খাওয়া মানে ব্লাড প্রেসার কে বুন্ধ করা।

আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

হাড়কে শক্ত করে

পুঁইশাকে থাকা ভিটামিন আমাদের শরীরের হাত শক্ত করতে সাহায্য করে। তাই পুঁইশাক কম খাওয়া মানে আমাদের শরীরের হাড় শক্ত করা থেকে বিরত থাকা। এতে ভিটামিনের একটি ভালো উৎস। বৈশাখে থাকা ভিটামিন হারের মেট্রিক্স প্রোটিন উন্নত করে। ক্যালসিয়ামের ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় এর পাশাপাশি মূত্রে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম করে। তাই হাড়ের শক্তি বাড়ানোর জন্য পুঁইশাকের গুরুত্ব মানব জীবনে অপরিসীম।

হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে

আমাদের মধ্যে দেখা যায় আমাদের শরীরে গ্যাসের বা হজমজনিত সমস্যা সব সময় লেগেই থাকে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পুঁইশাকের ভূমিকা অপরিসীম। যেহেতু পৈশাখে ফাইবার থাকে তাই কষ্ট কাঠিন্য হতে দেয় না শরীরের মধ্যে থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয় আর যেহেতু খাবার ভালো করে হজম হয় তাই বদ হজমের সমস্যা হয় না। তাই বলা চলে এটি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শক্তি সঞ্চালন করে।

শিশুদের জন্য উপকারী 

পুঁইশাক বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের জন্য একটি নিয়মিত খাবার হতে পারে। কারণ পুঁইশাক রয়েছে ভিটামিন মিনারেল প্রোটিন যা শিশুদের বেড়ে উঠা কে সহজ করে। তাই বাচ্চাদের জন্য পুঁইশাক ছোট থেকেই খাওয়ানোর অভ্যাস করাটাই ভালো হবে।

দৃষ্টিশক্তির জন্য উপকারী

চোখ আমাদের শরীরের অত্যন্ত সুখ একটি অঙ্গ। এর আলাদা করে যত্ন নেওয়া খুবই দরকার। পয়সা কিন্তু চোখ ভালো রাখতেও বেশ সাহায্য করে। পুইশাকে আছে বিটা ক্যারোটিন লুটা ইন আর এইসব উপাদান চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুবই সাহায্য করে। লটোইনে থাকে ম্যাকলাই যেটি রেটিনার একটি অংশ আর এটি অতিরিক্ত আলোর প্রভাব থেকে চোখকে ভালো রাখে। ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের থেকেও চোখ কে রক্ষা করে। 

শক্তি বাড়ায় 

এখনকার দিনে দেখা যায় প্রায় সব কাজ করতে একটু শক্তির প্রয়োজন হয়। পুঁইশাক এমন একটি সবজি যা শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পুঁইশাকে থাকা  ম্যাগনেসিয়াম এই শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পুঁইশাক ফোলেটের একটি ভালো উৎস যা খাবার খেয়ে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পুইশাক হলো ন্যাচারাল আলকালাইন যা আমাদের এনার্জেটিক রাখতে সহায়তা করে। 

অ্যাজমা রোগীদের জন্য বেশ উপকারী 

একটা গবেষণায় দেখা গেছে ৬ থেকে ৮ বছর বয়সী ৪৩৩ জনের মধ্যে এজমা আছে। আর তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ৫৩০ জন শিশু যাদের কোন এজমা ছিল না। আর এদের মধ্যে যাদের অ্যাজমা ছিল না তারা কোন না কোন ভাবে পুঁইশাক বেশি বেশি খেত। পুইশাকে আছে বিটা কেরোটিন আর এই বিটা ক্যারোটিন ই অ্যাজমা হতে রক্ষা করে।

আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা

মানব জীবনে পুঁইশাকের উপকারিতা 

  • পুইশাকে প্রচুর পরিমাণ কাজ থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও হজম করতে সাহায্য করে। 
  • নিয়মিত পুঁইশাক খেলে পায়েল ফেস্টুনা হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুবই কম। 
  • পুঁইশাকে থাকা প্রচুর পরিমাণ আজব ফাইবার যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • পুঁই সাথে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের জন্য রোগ জীবাণু দূর করে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে ও চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। 
  • পুঁইশাক ক্যান্সার প্রতিরোধক হার শক্ত করতে এবং বাচ্চার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। 

এতে করে জানা যায় পুঁইশাক মানব জীবনে একটি পুষ্টিগুণ ভরপুর সুস্বাদু স্বাস্থ্যসম্মত এবং রুচিসম্মত একটি পরিচিত। এবং গ্রামবাংলায় অনেক জায়গায় বলতে শোনা যায় যে মাছের মধ্যে রুই এবং সবজির মধ্যে পুঁই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url